বট থেকে কোর্স নিতে 'এনরোল করুন' বোতামে চাপুন।
টেলিগ্রাম চ্যানেলে "জয়েন করুন"
এনরোল করুন

Time Management এর সহজ ৩ উপায়




__এই কাজটা করে দেনা ভাই... 
____একদমই সময় হয়না ভাই 
__এই কাজটা করে দে ভাই......
____আরে ভাই একদমি সময় পাইনা ভাই। কি করে যে সময়টাকে ম্যানেজ করি !

তো আজকের এই পোস্টে টাইম ম্যানেজমেন্ট এর কিছু টিপস জানবো

Brian Tracy এর লেখা Eat That Frog বইতে থেকে। যিনি একজন ইন্টারন্যাশনাল মোটিভেশনাল স্পিকার, self-development, অথার এন্ড লিডারশিপ কনসালটেন্ট আর যে টিপস গুলোকে ফলো করে আমিও লাইফের অন্য সমস্ত সাইটকে ব্যালেন্স করার সাথে সাথে রেগুলারলি সবরকম কাজ সুন্দরভাবে করি। আর আমার মতই আপনারাও এই টিপস গুলিকে আপনার লাইফে কাজে লাগাতে পারবেন।

তার জন্য বলা যায় আমি প্রত্যেকদিন যতক্ষণ না এটা সিদ্ধান্ত নেই আজকের আর্টিকেলটি কোন টপিকের উপর হবে, ততক্ষণ আমি আমার সময় গুলো কে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি না। বিভিন্নভাবে ডিসট্রাকটেড হতে থাকি। কিন্তু যখনই একবার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি যে এই নির্দিষ্ট বিষয়ের উপরই আর্টিকেল লিখবো তখন সাথে সাথেই ওই সিদ্ধান্তের উপর কাজ শুরু করতে পারি। এমনটা আপনার সাথে নিশ্চয়ই ঘটেছে।

কোন একদিন সকালে আপনি খুব মোটিভেট হয়ে ঘুম থেকে উঠলেন এবং ভাবলেন আজ ম্যাথের কুড়িটি প্রবলেম সলভ করব। ব্রেকফাস্ট কমপ্লিট করার পর আপনার মনে পড়ল ওহ হো ! বাংলার কয়েকটা চ্যাপ্টার পড়া হয়নি, ফিজিক্সটাও তো পড়তে হবে আর এগুলো ভাবতে ভাবতে আপনার আসল পড়া বাদে অন্য যেকোনো কাজের টাইম টাই পেরিয়ে যায়।

আর এই সময়ে যদি ফোনে ফেসবুক বা হোয়াটস অ্যাপের কোন নোটিফিকেশন আসে তাহলে তো হয়েই গেলো অর্থাৎ আসল প্রবলেমটি হলো যে আপনি এই বিষয়ে ক্লিয়ার নন যে একজ্যাক্টলি কোনটা করতে চান। তাই বইটির লেখক বলেছেন→ অ্যাডফাস্ট ডিসাইড এক্সাক্টলি হোয়াট ইউ ওয়ান্ট অর্থাৎ সিদ্ধান্ত নিন আপনি আসলে কোনটা করতে চান।

একটি স্পষ্ট ও নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নিন এবং তারপর সে একটি কাগজে লিখে ফেলুন যে আজ আমি ওই কাজগুলো করব যেমন নাম্বার ওয়ান ম্যাথ নাম্বার টু সাইন্স ইত্যাদি। এতে আপনার মাইন্ড একটি পরিস্কারভাবে সিগন্যাল যায়, যাতে আপনার কনফিউজড হবেন না যে কোন কাজটা করব আর কোন কাজটা করব না।

সম্পর্কিত আরও পোস্ট

টিপস নাম্বার ১, কাগজে লিখে সিদ্ধান্ত নিন, অর্থাৎ নোট ডাউন করুন। সারাদিন আমার প্রথম কাজ হলো দিনের বিশেষ বিশেষ কাজগুলোকে লিখে ফেলা যেমন প্রথমে আর্টকেল লিখতে হবে তারপর লাঞ্চ করতে হবে বা বাড়ির কোন দরকারি কাজে বাইরে যেতে হবে অর্থাৎ আমাদের প্রত্যেক দিনের প্ল্যান আগে থেকে করা উচিত।

আর আমি প্রত্যেক দিনের শুরুতেই এই বিশেষণগুলো একটি বোর্ডে নোট ডাউন করি সেই মতো এক এক করে কাজ গুলো কমপ্লিট করি। কারণ খাতায় লিখলে বারবার খাতা ওপেন করে সেটা দেখতে হবে। কিন্তু বোর্ডে লেখা থাকলে সেটা সবসময় আমার চোখের সামনে থাকায় আমি সহজে ডিসকানেক্ট হয়ে পড়ি না। আর আপনার কাছে নিশ্চয়ই বোর্ড নেই। না থাকলেও সমস্যা নেই।

আপনি খাতায় লিখে স্টার্ট করতে পারেন এবং পরবর্তীতে সম্ভব হলে একটি হোয়াইট বোর্ড ও কিনে নিজের ঘরে রাখতে পারেন। আর আপনি যদি রেগুলারলি এটা করেন তাহলে আপনার দুটো লাভ হবে। প্রথমত আপনি কোন কাজ করতে ভুলে যাবেন না। কারণ অনেক সময় আমরা একটা কাজে বিজি হয়ে অন্য কাজ করতে ভুলে যায়। এবং দ্বিতীয়তো আপনার মাইন্ড একটা ডিসিপ্লিন এর মধ্যে থাকবে যে আজ আপনাকে এই এই কাজগুলি করতেই হবে।

যা আপনাকে ওই কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্য একটি এনার্জেটিক মনে রাখবে। অর্থাৎ, টিপস নাম্বার ২, সারা দিনের প্ল্যানিং দিনের শুরুতেই করে ফেলুন। এবার অনেকেই ভাবছেন যে সারাদিনের প্লেনিং তো করব কিন্তু কোন কাজটি আগে করবো এর জন্য আপনাকে এই রুলটি এপ্লাই করতে হবে। আমরা যে কাজই করি না কেন সেই কাজের প্রধান উদ্দেশ্য হলো সেই কাজ থেকে বেরিয়ে আসা আউটকাম বা রেজাল্ট।

যেমন আমার কাছে সারা দিন ফেসবুকে ইনস্টাগ্রামে লোকের ছবি বা স্ট্যাটাস চেক করার থেকে কার্যকরী কোন কনটেন্ট বানিয়ে সাইটে পোস্ট করে মানুষের হেল্প করে পাওয়া আউটকামটি বেশি ইম্পর্টেন্ট। তেমনই সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে শুয়ে শুয়ে ৩০ মিনিট মোবাইল ঘাটা থেকেও বেশি ইম্পর্টেন্ট আউটকাম আমি পাই সৃষ্টিকর্তার কাছে আত্মসমর্পণ করে প্রার্থনা করে এবং অল্প কিছু এক্সারসাইজ।

আর এভাবেই আপনিও নিজের কাছে প্রশ্ন করে জেনে নিন যে কোন কাজ গুলো আপনার কাছে বেশি ইম্পর্টেন্ট আর এই সময় কোন কাজকে চুস করার আগে একটা কথা মাথায় রাখবেন যে শর্টাম বেনিফিট থেকে long-term বেনিফিট আমাদের বেশি ফোকাস করা উচিত। অর্থাৎ, টিপস নাম্বার ৩, Decide What is More Important For You And Work According To That Schedule.

Brian Tracy লেখা Eat That Frog বইটিতে আর অনেক টিপস রয়েছে বাট আমি পার্সোনালি এই তিনটি সবথেকে বেশি ফলো করি। 
  • ১. দিনের বেশিরভাগ মেজর ডিসিশন গুলি আমি নোট ডাউন করে ফেলি। 
  • ২. আজ আমি কি করবো বা কখন কখন করব সেই সিডিউল ঘুম থেকে উঠাই তৈরি করে ফেলি এবং সে অনুযায়ী কাজ করি। 
  • ৩. যে কাজগুলি আমার জন্য সবথেকে বেশি ইম্পর্টেন্ট সেই কাজগুলো আমি সবার আগে করি অর্থাৎ যদি একটু ভালো করে দেখা হয় তাহলে টাইম ম্যানেজমেন্ট বলতে আলটিমেটলি বোঝায় নিজেকে ম্যানেজ করা। কারণ আমরা কোন জিনিস কখনই টাইমকে কন্ট্রোল করতে পারি না কিন্তু আমরা চাইলেই নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারি। 

তাই, self-management হল আসল টাইম ম্যানেজমেন্ট।

Getting Info...

২৯টি মন্তব্য

  1. Thnx a lot vaiya
  2. I will try
  3. Thanks
  4. Thanks
  5. Wlc
  6. Favourite article ❤️
  7. Hi
  8. সুন্দর ও গোছানো উপদেশ।
    চেষ্টা করব মেনে চলার। বাকিটা বিধাতার ইচ্ছা😇
  9. Helpful tips 💛
  10. Indeed,It was helpful...
  11. Thanks it was helful
  12. Interested
  13. Important post
  14. thanks
  15. মেনে চলার চেষ্টা করবো!
  16. Good information
  17. পোস্টা দ্বারা অনেক উপকৃত হইলাম ❤️
  18. Thanks😍
  19. Great
  20. ধন্যবাদ
  21. I will try it. ♥️
  22. খুব উপকৃত হলাম।।
  23. I will try my best, thanks💝
  24. i will try my best,thanks
  25. Thanks
  26. thanks for this information
  27. Thankssss
  28. এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
  29. Important post
পোস্ট সম্পর্কিত মন্তব্য করুন। গালি ঘৃণিত শব্দ ব্যবহার পরিহার করুন।
মন্তব্যের জন্য অগ্রিম ধন্যবাদ!
কারো মন্তব্যের দায় EduMentors নেয় না।
আমাদের স্বীকারোক্তি
এই ওয়েবসাইট ব্যবহারের সময় আপনি:
১. কুকিজ ব্যবহার করতে সম্মত হচ্ছেন।
২. আমাদের গোপনীয়তা নীতি ও অন্যান্য শর্তের সাথে সম্মত হচ্ছেন।
৩. অনিচ্ছাকৃত বা ভূলবশত ভূল তথ্য অথবা সম্পূর্ণ সত্য নয় এমন এবং কপিরাইট যুক্ত উপকরণ প্রদর্শিত হতে পারে, এ ব্যাপারে সম্মত হচ্ছেন।
বিস্তারিত
আহ্ হা !
আপনি অফলাইনে আছেন, আপনার ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছে অথবা আপনার ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপনে ব্যর্থ হয়েছে।
অনুগ্রহ করে ইন্টারনেট সংযোগ যাচাই করে বা চালু করে পুনরায় চেষ্টা করুন।
ধন্যবাদ !